পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর চরম ব্যর্থতা রয়েছে

দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরে সংকটে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সংকট উত্তরণের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। বাজারে ঘন ঘন দর পতন হচ্ছে। লেনদেনের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি দৃশ্যমান হলেও শেয়ারবাজার যেন হাঁটছে উল্টো পথে। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হচ্ছে না।

ক্রমাগত লোকসানের কারণে গত ৯ মাসে ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে কেনাবেচার অ্যাকাউন্ট (বিও) বন্ধ করে দিয়েছেন। ৫৭ হাজার বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। এই সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক এক হাজার পয়েন্টের বেশি কমেছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেতৃত্ব নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যান্য খাতে উন্নতি হলে পু৭জিবাজারে সেটি দেখা যাচ্ছে না কেন? অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে আর শেয়ারবাজার ছুটছে বিপরীত দিকে।

আমরা মনে করি দেশের পুঁজিবাজারে বেশ সম্ভাবনা আগেও ছিল এখনও আছে। দরকার হচ্ছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এটি করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এখানে যে সংস্থাগুলো রয়েছে সেগুলোর চরম ব্যর্থতা রয়েছে। ফলে বাজার থেকে কোনো সুফল পাচ্ছে না দেশের অর্থনীতি। এই দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না। তাদের জবাবদিহি করা উচিত।

Tagged