পুঁজিবাজার প্রশ্নে নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন

দেশের পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির একটি গুরুত্বপণূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে কিনা- এটি কিন্তু সম্পূর্র্ণ পরিস্কার নয়। নীতিনির্ধারকদের আচরণ থেকে কখনো কখনো মনে হয় পুঁজিবাজার নিয়ে কেবল ভাববে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আর স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের চিন্তা সঠিক নয়। পুঁজিবাজার প্রশ্নে নীতিনির্ধারকদের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসা প্রয়োজন। তাহলে অনেক কিছুই সঠিকভাবে চলতে পারে। এর একটি ভালো নজির হচ্ছে বাজার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা। তিনি সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে বর্তমানে অনেক কিছু ঠিক হতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক কালে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের বক্তব্য থেকেও আমরা বুঝতে পারি। তাই এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই।

আমরা মনে করে এটি কেবল প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। তাকে আরও অনেক কাজ করতে হয়। তাই বিশেষ করে অর্থনীতির নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব যাদের রয়েছে, এখানে তাদের ভূমিকাই মুখ্য হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী পারলে অন্যরা পারবেন না কেনো? আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক বলেই, লাখ লাখ বিনিয়োগকারী এবং দেশের অর্থনীতির বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে ভেবেছেন আর সেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই কাজটির জন্য পুঁজিবাজারকে প্রায় দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই বিশেষভাবে অর্থনীতির জন্য যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে আশা করি।

Tagged