দীর্ঘ পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরে অবস্থান করলেও, বাকি যে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের উপরে আছে সেগুলোও ক্রমাগত ফ্লোর প্রাইসে নামছে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করা কোম্পানির সংখ্যা। আর যে হারে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করা শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে কয়েকদিন পরে সব কোম্পানির শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসবে। কোন পথে হাটছে পুঁজিবাজার? এমনই প্রশ্ন এখন বিনিয়োগকারীদের।
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস একটি সাময়িক পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ কিছু সময়ের জন্য পতন ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস এখন দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপে রূপ নিয়েছে। যা এখন বাজারে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দিবে তার কোন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। এ বিষয়ে কোন চিন্তাও করছে না সংস্থাটি। বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না অনেকে তারা বলছেন, তবে কি বিএসইসি সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে এনে তারপর পদক্ষেপ নেবে। দীর্ঘদিন যাবত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস থাকায় মাত্র কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে চলতে পারে না পুঁজিবাজার। তাই এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো উপায়ও খুঁজতে হবে নীতির্নিধারকদের।