পুঁজিবাজার থেকে বিভ্রান্তি দূর করা প্রয়োজন

দেশের পুঁজিবাজার টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে পড়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৫ মে) দরপতনের মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। চারদিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। রিজার্ভ কমে যাওয়ার সংবাদ, রিজার্ভ চুরি হওয়ার গুঞ্জন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপের গুঞ্জন এবং দাম কমার সর্বোচ্চসীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার কারণে শেয়ারবাজারে এ টানা দরপতন হচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। তবে সবার আগে দরকার হচ্ছে বিভ্রান্তি দূর করা।

এর আগে ফ্লোরপ্রাইস শেয়ারবাজারের অনেক ক্ষতি করেছে। এখন দাম কমার সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় মাধ্যমে আবারও বাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। আতঙ্কে অনেকেই লেনদেনের শুরুতেই দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। দাম কামার সর্বোচ্চসীমা ৩ শতাংশ হওয়ায় অনেকেই সর্বনিম্ন দামেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে বাজারে আতঙ্ক আরও বাড়ছে।

শেয়ারবাজার স্বাভাবিক রাখতে যতদ্রুত সম্ভব ৩ শতাংশের নিয়ম তুলে দিয়ে বাজারে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার চালু করতে হবে। সেইসঙ্গে আগামী বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বসানো হবে কি না, সেটা দায়িত্বশীলদের নিশ্চিত করতে হবে। রিজার্ভের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে স্পষ্ট করতে হবে। এসব করা যাদের দায়িত্ব তারাই করবেন। তবে সবার আগে দেশের এবং পুঁজিবাজারের কথা মাথায় রাখতে হবে।

Tagged