দেশের পুঁজিবাজারে ভালো মানের কোম্পানি তালিকাভুক্তি করা ও করকাঠামোতে যেসব অসংগতি রয়েছে, সেগুলো দূর করার এখনই সময়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যমান সমস্যা থেকে বেরিয়ে বাজার একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশা আমাদের।
পৃথিবীজুড়েই শেয়ারবাজার অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে এ স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। পুঁজিবাজার যে অর্থনীতির শক্তিশালী একটি খাত, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে সেই স্বীকৃতি আসা প্রয়োজন। বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে সংস্কার ও পুঁজিবাজার নিয়ে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব বাজার অংশীজনের মানসিকতা ও নীতি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও ভাবা দরককার। সবাই মিলে যদি খারাপ কোম্পানি বাজারে আসার বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তাহলে আগামী দিনে কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করতে পারবে না। একই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকা উচিত। তা হলে পুঁজিবাজার নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে আমরা মনে করি।