যেকোনো শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি এখন উন্নত বিশ্বে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। আমাদের দেশেও একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত শাসন ব্যবস্থার জন্য ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। পাকিস্তানের অগণতান্ত্রিক, দুর্বৃত্তায়নের শাসন থেকে বাঙালি মুক্তি চেয়েছিলো। কিন্তু শাসক গোষ্ঠী তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব রক্ষায় অটল থাকলে বাঙালির সামনে স্বাধীনতা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিলো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পরবর্তীতে বাংলাদেশে অনেক আমলা, শাসক বিষয়টি মনে রাখেননি। যে কারণে স্বাধীন দেশেও আমাদের সুশাসনের জন্য হাহাকার করতে হয়। একই বাস্তবতা দেশের পুঁজিবাজারেও। এখানে যারা চেয়ারে বসেন, তারা নিজের কর্তব্য সম্পর্কে উদাসী হয়ে যান। তারা একবারের জন্যও ভাবেন না- এই চেয়ার, তার বেতন-ভাতা, সুবিধাদি জনগণের টাকায় হয়। এটি একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে আমাদের পুঁজিবাজারে।
পুঁজিবাজার একটি অংশগ্রহণমূলক জায়গা। একানে বিভিন্ন কোম্পানি, ব্রোকারেজ হাউস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী ইত্যাদি রয়েছে। সব চেয়ে বড় বিষয় হলো দেশের অর্থনীতির একটি বড় ক্ষেত্র হলো পুঁজিবাজার। এখানে শুধু লাখ নয়, কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। আমরা বলতে চাই, সুশাসনের অভাবে যেনো বিষয়টি আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।