পুঁজিবাজারে লেনদেনের চিত্র খুবই হতাশাজনক

বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অসহযোগিতার কারণে পুঁজিবাজারে মন্দাভাব কাটাতে অর্থমন্ত্রীর নানা নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নানা উদ্যোগও কাজে আসেনি। একদিন উত্থানের ঝলক দেখিয়ে পরের দিনই ফের পতনের ফিরে দেশের পুঁজিবাজার। উপায়ন্তর না দেখে বিএসইসি পতনের সর্বনিম্ন সীমা আবারও দুই শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়।

তারপরও গতকাল দিনভর সূচকের ঊর্ধবমুখী হওয়ার পথে বার বার বাধা পায়। দুপুর পর্যন্ত সূচক কয়েক বার ঊর্ধ্বমখী প্রবণতায় টার্ন নিতে দেখা যায়। কিন্তু বড় বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসারে সূচক ফের ঘুরে আসে। তবে দিনভর সূচকের টানাটানির পর লেনদেনের শেষ সময়ে এসে হঠাৎ দ্রুত বাড়তে থাকে সূচক। এই সময় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরও বেড়ে যায়। দিনশেষে পুঁজিবাজারে দেখা গেল আশার আলো। কিন্তু এটি কতখানি স্থায়ী হয় সেই নিশ্চয়তা পাওয়া কঠিন। কারণ আগে এমন হয়েছে। বাজারে হঠাৎ করে উত্থান হয়ে আবার সেই আগে অবস্থায় ফিরে গেছে।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বাজারে ধস ঠেকাতে ‘পতনের সর্বনিম্ন দুই শতাংশ বাধা’ আরোপ করেছিল বিএসইসি। তারপর বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। এবার নানা উদ্যেগের পরও বেগতিক অবস্থা দেখে ফের দুই শতাংশের কৌশলে নামে কমিশন। আগেরবার সার্কিট ব্রেকার দেওয়ার পর লেনদেনে যে গতিহীনতা দেখা গিয়েছিল, সেটি থেকে বাজার আজও খুব একটা বের হতে পারেনি। লেনদেনের চিত্র খুবই হতাশাজনক।

Tagged