পুঁজিবাজারে রাইট শেয়ারের টাকা যায় কোথায়?

আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের সমকক্ষতা অর্জন করতে না পারলে বর্তমান গতিশীল বিশ্বে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ কারণে উন্নতবিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখা দরকার। বিশেষ করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনেক বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখা দরকার। যেমন রাইট শেয়ারের মাধ্যমে যখন কোম্পানিগুলো পুনরায় বাজার থেকে টাকা নেয়, তখন সেই টাকার ব্যবহার কোথায় কীভাবে হচ্ছে এটির খোঁজ রাখা দরকার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

অতীতে দেখা গেছে পুঁজিবাজার থেকে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে টাকা তোলার পর কোম্পানিগুলোর ৩০ টাকার শেয়ার ১২-১৪ টাকা হয়ে গেছে। অনেক কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছে। রক্ত-মাংস হারিয়ে এসব কোম্পানি রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। তাই দেখা দরকার এই রোগের আরম্ভ কোথায়। বিশেষ করে এসব কোম্পানির রাইট অনুমোদন যারা করেছেন, সেই প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছও গ্রহণযোগ্য ছিলো। অনেক কোম্পানির পরিচালক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই বছরের পর বছর নিজেরা ভোগ-বিলাসে মত্ত রয়েছেন। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তাই কোম্পানিগুলোর রাইট শেয়ারের টাকা কোথায় যায়, এটি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্টরা এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

Tagged