পুঁজিবাজারে যত গর্জন তত বর্ষণ নেই

দেশের পুঁজিবাজারে সূচক উঠে এসেছে সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের উপরে। সদ্য বিদায়ী বছরে লেনদেন নেমে এসেছিল মাত্র দেড়শ কোটি টাকায়। সেই লেনদেন এখন আড়াই হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়েছে। এতে মনে হতে পারে বাজার বোধ হয় বড় ধরনের উত্থানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আসলে বলতে হচ্ছে, পুঁজিবাজারে যত গর্জন, তত বর্ষণ নেই। কারণ সামান্যসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে সূচকের সংখ্যা গননা এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর এখনও তলানিতে।

বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দায়িত্ব নেয়ার পর বাজারে যে কিছুটা ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হয়েছে, এটি স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। আসল কথা হচ্ছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর সর্বনাশ হয়েছে টানা দর পতনের কারেণে। তাদের পুঁজি নাই হয়ে গেছে। তারা শেয়ার সংখ্যাকে ধারণ করে বসে আছে। সেই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় কী? লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ার হাতে নিয়েতো এখনও অনেক বিনিয়োগকারী হতাশায় প্রহর গুনছেন। তারা যাবেন কোথায়? সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি যদি তাদের লোকসান কমাতে না পারে তাহলে সেটি দিয়ে কী হবে?

Tagged