গত প্রায় দশ বছর ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন ঘুরেফিরে বড় ইস্যু। একটা সময় এসে কোনো কারণ ছাড়াই বাজারের ধসের পর ধস হচ্ছিলো। যা পুঁবাজারেরে স্বাভাবিক চরিত্রের সঙ্গে বেমানান। এ সময় লাখ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের সামনে হতাশা ছাড়া কিছুই ছিল না। এমন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর হয়। আমরা মনি করি এটি পুঁজিবাজারের অবস্থা বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত।
কোভিড-১৯-এর কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম দিনে সূচক বাড়লেও এর পর থেকেই টানা পতনের মধ্যে ছিল পুঁজিবাজার। দরপতনে অধিকাংশ শেয়ার ও ফান্ডের দর ফ্লোর প্রাইস স্পর্শ করে। বাকিগুলোও ফ্লোর প্রাইস ছুঁই ছুঁই। এ সময় ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছেন।
আমরা মনে করি সরকারের নেয়া ফ্লোর প্রাইসের সিদ্ধান্তটি সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ ঢালাওভাবে দরপতন ঠেকানোটা দরকার ছিল। না হলে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে যেতেন। অপর দিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকরা। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা আশা করি এই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।