পুঁজিবাজার একটি সমন্বিত ক্ষেত্র। এখানে একজন ডানে আরেকজন বামে চলার রীতি থাকলে চলবে না। এখানে স্বার্থসংশ্লিষ্টতা যত বাড়বে, বাজারের সক্ষমতাও ততই বাড়বে। আর যদি সেটি না হয়, তা হলে বিপরীতি ঘটনা ঘটবে। এই ধরনের ঘটনা পুঁজিবাজারের জন্য সুখকর নয়।
পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হয়, এখান থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার জন্য। আবার বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিগুলোকে টাকা দেয়, লভ্যাংশ বা মুনাফা পাওয়ার জন্য। এই বিষয়টির সঙ্গে কারো দ্বিমত থাকার কারণ নেই। উভয় পক্ষই লাভবান হতে চাইবে। কিন্তু বিপত্তি হয় তখন, যখন কোনো পক্ষ অনিয়ম বা অন্যায্যতা প্রয়োগ করে। বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়, যদি এর প্রতিকার না হয়। এক্ষেত্রে কোনো একক সংস্থার ওপর দায় চাপানোই কাম্য নয়। দরকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা। কারণ একাধিক সংস্থা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে জড়িত। সেগুলোর মধ্যে যদি সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়, তখন বাজার সঠিকভাবে এগোতে পারে না। স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজে সমন্বয় থাকা খুবই প্রয়োজন। তাহলেই কেবল পুঁজিবাজারে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে পারে।