পুঁজিবাজার নিয়ে স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ প্রয়োজন। তবে প্রাথমিক পদক্ষেপ হওয়া উচিত বাজারে অর্থের জোগান বাড়ানো। প্রায় এক দশক ধরে একদিকে দরপতন, অন্যদিকে আইপিও ও রাইট শেয়ারের মাধ্যমে বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বের হয়ে গেছে। এই অর্থ যেভাবে হোক বাজারে ঢুকানো প্রয়োজন। এটি কীভাবে হবে, কোথা থেকে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নীতিনির্ধারকদেরই। এই সিদ্ধান্ত যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন থেকে অনুমোদন দেয়া অর্ধশতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দাম ইস্যু মূল্য অথবা ফেসভ্যালুর নিচে নেমে গেছে। আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর এমন করুণ অবস্থাও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতাশ করছে। তারা বাজারে সক্রিয় হওয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। একইসঙ্গে বাজারে ভরসা রাখার মতো অবস্থাও সৃষ্টি হচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের বাজারে ডেকে আনাটা খুবই কঠিন। বাজার এখন ক্ষত-বিক্ষত। এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে নতুন করে অর্থের জোগান। তবে এর পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। না হলে আবারও এমন সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।