দেশের পুঁজিবাজারে কোনোভাবেই দরপতন থামছে না। পতনের ধাক্কায় বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের ভয়ানক সংকটে পড়তে হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ধারাবাহিক পতনে ৬ কর্মদিবস পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সূচক নেমে যায় ৬ হাজার ৭৯ পয়েন্টে।
এরপর থেকে সূচক উপরে ওঠতে থাকে। যা ১১ ফেব্রুয়ারি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। তারপর জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক সিদ্ধান্ত বাজারে আবারও নেতিবাচক চাপ দেখা যায়। শুরু হয় আবারও ধারবাহিক পতন। এরপর পতন আরও গভীর হয় যখন শীর্ষ মূলধনী কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া যা। এরপর বাজারে থেমে থেমে পতনের বড় ঝাপটা দেখা যায়।
এদিকে, সূচক এমন পতনের কোনো কারণ বোঝা যাচ্ছে না। যারা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য গলাবাজি করেছিলেন, বাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার নানা রকম প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল, তারা এখন কী বলবেন। কোনো রকম আওয়াজ নেই। অন্যদিকে, বাজারে এমন ধারাবাহিক পতনে লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।