নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করায় সাফকো স্পিনিংয়ের পর্ষদকে বিএসইসিতে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড টানা দুই বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড না দেওয়া ও ক্রমাগত লোকসানের কারণ জানতে পরিচালনা পর্ষদসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০১৯ ও ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন আলোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি সাফকো স্পিনিং মিলস। এছাড়া কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে কখনো শেয়ারহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়নি। ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ার কারণে তালিকাভুক্তর পর থেকে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ফলে কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ক্রমাগত লোকসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তাই সাফকো স্পিনিং মিলস কেন ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না, সে বিষয়টি জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডেকেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও সচিবকেও ডাকা হয়েছে। আর ডিভিডেন্ড না দেওয়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পরিচালনা পর্ষদকে সঙ্গে আনাতে বলেছে বিএসইসি।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দুপুর ১টার দিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করা হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সাফকো স্পিনিং মিলস। তালিকাভুক্তি ওই বছর থেকে টাকা ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের ওপর বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে ২০১৫ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানি অবারও শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস-ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটির ঘোষিত বোনাস-ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ায় কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬-তে।
সর্বশেষ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ৩৭ পয়সা। আর দুই প্রান্তিক মিলে আর্থাৎ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
এসএমজে/২৪/রা

Tagged