গতকালও দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৭৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম কমেছে ৩২৪টির, আর বেড়েছে মাত্র ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৩১৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর লেনদেন কমে প্রায় তিন মাসের সর্বনিম্ন স্থানে নেমে চলে এসছে। দর কমার আর সূচক কমার চিত্র দিয়ে সব সময় পুঁজিবাজারের প্রবণতা না-ও বুঝা যেতে পারে। তবে যেভাবে আগ্রাসী দরপতন হচ্ছে, এটি স্বাভাবিক কিনা সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন বাজার সংশোধন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিন্তু আরও একটি কথা থেকে যায়। সেটি হচ্ছে বাছ-বিচারহীন দরপতন। এটি কখনো কাম্য হতে পারে না।
পুঁজিবাজার যখন ঊর্ধ্বমুখী ছিলো, তখন অনেক দুর্বল শেয়ারেরও দর বেড়েছে। সেসব শেয়ারের দর কমাটা অস্বাভাবিক নয়। এসব শেয়ার যারা কিনে থাকেন, তারা কী বুঝে কেনেন এটি একটি প্রশ্ন। তারপরও কোনো বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হোক, এটি কাম্য নয়। আবার যারা ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন, সেইসব শেয়ারের নির্বিচার দরপতনও কাম্য নয়।