বিদায় ২০২৪। স্বাগতম ২০২৫। গত একটি বছর পুঁজিবাজারে কেটেছে নানামুখী টানাপড়েনে। বলার মতো কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি। বিনিয়োগকারীরা কেবল আশায় বুক বেধে ছিলেন। নতুন বছরে তাদের সেই আশা কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখুক। এমন প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। নতুন বছর বিনিয়োগকারীদের জীবনে আনন্দ বয়ে আনুক। ঘুচে যাক পুরনো বছরের ব্যর্থতা ও গ্লানি।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য এক দুঃসহ বছর ২০২৪ সাল। দুর্নীতি ও অনিয়মের পাশাপাশি সূচক, শেয়ারের দাম ও বাজার মূলধনের অব্যাহত পতন দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজারের প্রতি তাঁদের আস্থা প্রায় তলানিতে নেমেছে। ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সংস্থাটির প্রধান ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কিছু বিনিয়োগকারী।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্ট। বছরের শেষ দিকে ২৬ ডিসেম্বর তা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে। ১ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় সোয়া এক লাখ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএসইসির শীর্ষ পদে বদল আনা হয়েছে। বিদায় নিয়েছে শিবলী রুবাইয়াত-উল–ইসলাম কমিশন। সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে নতুন কমিশন। ডিএসই ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পর্ষদও বদলানো হয়েছে; কিন্তু বাজারের প্রতি আস্থা এখনো ফেরেনি।
তবুও আমরা আশা করবো নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন বার্তা নিয়ে আসবে শেয়ারবাজার।