নতুন করে শেয়ার না ছাড়তে বিএসইসির সঙ্গে ওয়ালটনের সমঝোতা

এসএমজে ডেস্ক:

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে নতুন করে আর শেয়ার ছাড়তে হবে না। পুঁজিবাজারে ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার না বাড়ানো নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে সমঝোতা করেছে ওয়ালটন হাইটেকের কর্তৃপক্ষ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে কমিশন ওয়ালটনের ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার বাড়ানোর প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে।

গত মঙ্গলবার  অনুষ্ঠিত এসইসির সাথে ওয়ালটনের বৈঠকে এমন সমঝোতা হয়েছে বলে জানায় ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম ।

জানা যায়, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে মাত্র এক শতাংশেরও কম শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।যার কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতেই উচ্চ আয়ের কোম্পানিটির শেয়ারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। যার ফলে অস্বাভাবিক ভাবে কোম্পপানিটির শেয়ার দর বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হলে কোম্পানিটির ওপর ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার বাড়ানোর চাপ তৈরি হয়। তবে সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনা করে ওয়ালটনের নতুন শেয়ার ইস্যুর প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে বিএসইসি।

ওয়ালটনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক উদয় হাকিম জানান- গত মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে আরও শেয়ার ইস্যুর বিষয়টিতে ছাড় দিতে সম্মত হয়েছে বিএসইসি। অর্থাৎ ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে পুঁজিবাজারে নতুন করে শেয়ার ছাড়তে হবে না। তবে এই ছাড়ের বিপরীতে ওয়ালটন গ্রুপ আরও দুটি কোম্পানি অর্থাৎ ওয়ালটন প্লাজা ও ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে, যেখানে ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার পর্যাপ্ত থাকবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা দর প্রস্তাব করে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নির্দেশক মূল্য (কাট-অব-প্রাইস) ৩১৫ টাকার ওপর ২০ শতাংশ ছাড়ে ২৫২ টাকা দরে লটারিতে বরাদ্দ পান। এর ফলে ১০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে গিয়ে মাত্র ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার ইস্যু করতে হয়েছে, যা কোম্পানির মোট শেয়ারের মাত্র শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ। স্বল্প সংখ্যক ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার থাকায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর লেনদেন শুরুর প্রথম সাত কার্যদিবসে ওয়ালটনের শেয়ারের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধির পরও সেকেন্ডারি বাজারের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে পারেননি। মাত্র সাত দিনেই শেয়ার দর তিন গুন বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সমালোচনা তৈরি হলে ওয়ালটনসহ যেসব কোম্পানির যেসব কোম্পানির ১০ শতাংশের কম ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার রয়েছে, সেসব কোম্পানির ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার বাড়াতে এসইসির ওপর চাপ তৈরি হয়।

এসএমজে/২৪/মি

Tagged