নিজ দেশের আমদানি করা পণ্যে যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এর প্রাথমিক ধাক্কায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খোদ তাঁর দেশেরই শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। এর পরের অবস্থানে ইউরোপের শেয়ারবাজার। এশিয়ার বাজারে পতন হচ্ছে, তবে সে তুলনায় অনেক কম। এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব আমাদের বাজারে খুবই কম।
বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারের দর পতনের প্রেক্ষাপটে বাংলদেশের শেয়ারবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার খুব একটা কারণ আছে বলে মনে হয় না।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে কারও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি এবং কারও ক্ষেত্রে কম হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রপ্তানি পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
অতিরিক্ত শুল্কারোপের ফলে আপাতভাবে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্যের আমদানি খরচ বাড়বে, তাতে চাহিদা কমতে পারে। বাস্তবতা হলো, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ হয়েছে অনেক বেশি। তবে ভারত ও পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে। এমনটা হবে না যে ভারত ও পাকিস্তান সব ক্রয়াদেশ পাবে, কারণ এতটা পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর সুযোগ এ দুই দেশের নেই। তা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামের পণ্য রপ্তানি হয়। শুল্ক আরোপে সব পণ্যের দাম বাড়লে বেশি দামের পণ্যের চাহিদা কমবে, অপেক্ষাকৃত কম দামি পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে। এতে করে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। তাই আমাদের খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে বলে মনে হয় না।