দুর্বল আইপিও আসা বন্ধ করা হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

এসএমজে ডেস্ক:

ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে দুর্বল আইপিও তালিকাভুক্ত হওয়া বন্ধ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শনিবার (২০ জুন) সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল কর্তৃক আয়োজিত ডিজিটাল প্লাটফর্মে বাজেটের প্রভাব নিয়ে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে দুর্বল আইপিও আসার সুযোগ নেই। কারণ বর্তমানে যেসব আবেদন আসছে সেগুলো খুব সচেতনতার সঙ্গে বিবেচনা করে এবং বার বার যাচাই করে তারপর অনুমোদন দেব।

এছাড়া কোম্পানিগুলো যেন কয়েক ধরনের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এর মাধ্যমে একটি কমন প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের একটি মাত্র আর্থিক প্রতিবেদন দেয়া থাকবে। সেই একই প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও বিএসইসিসহ সকলের প্রয়োজন মতো সংগ্রহ করতে পারবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েক ধরনের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা বন্ধ হবে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কিছু ইস্যু মিস হয়ে গেছে। কিছু প্রস্তাবনা আছে যেগুলো পুঁজিবাজারের জন্য অনুকূল নয়। যেমন পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের লক-ইন আরোপ, তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, জিরো কূপন বন্ডের কর সুবিধা তুলে নেওয়া। এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো, ব্রোকারহাউজের লেনদেনে উৎসে কর কমানোসহ আরও কিছু বিষয় বাজেটে বিবেচনা করলে ভালো হতে।

তিনি বলেন, বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তবে বিষয়টি শুধু বিএসইসির একার কাজ নয়। এখানে অনেকগুলো পক্ষ আছে, তাদেরকেও নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে। বিএসইসি শুধুই রেগুলেটর, আমাদের প্রধান কাজ আইন-কানুন প্রণয়ন করা। এখতিয়ারের মধ্যে থেকে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য শুনি, কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করি, বাজারের কল্যাণে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটিও করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা আপনাদের ব্যবসাকে সহজ করা, তথ্য প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়িয়ে পেপারলেস রিপোর্টিং এবং বিভিন্ন বিষয় অনুমোদন বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা কমিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এমনকি বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটি করতেও আপত্তি নেই। কিন্তু বাজারে লেনদেনের বিষয়ে কিছু করার সুযোগ আমাদের খুবই কম।

আলোচনায় অংশ নেন ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মঈনউদ্দীন এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন।

এসএমজে২৪/কা

Tagged