দুর্নীতির দৌরাত্ম্য কমলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে

‘শ্যাম  রাখি না কূল রাখি’- অবস্থা কোনো কাজের ক্ষেত্রে সঠিক নয়। সিদ্ধান্ত নিতে হবে একটি অবস্থানের উপর দাঁড়িয়ে। সংশয় রেখে কোনো পদক্ষেপই সঠিক হয় না। তাই দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একদিকে উন্নয়নের কথা আরেক দিকে দুর্নীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করতে হলে দুর্নীতির অবসান করতে হবে।

দেশবাসী যদি বুঝতে পারে, পুঁজিবাজার থেকে দুর্নীতির দৌরাত্ম্য কমে গেছে, তাহলে তারা বিনিয়োগ করার ভরসা পাবেন। এই ভরসার জায়াটি তৈরি করা দরকার। বিভিন্ন সময় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপ অনেক সময়ই ধূলায় মিশে যায়। বাজার উপকৃত হয় না। কতিপয় চক্র আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়। তাদের পকেট ভারী হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান না হয়ে উল্টো ক্ষতির মধ্যে পড়েন। এ কারণে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হয় না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করে। অপর দিকে দুর্নীতিবাজরা হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। তাই দুর্নীতি নির্মূলের ব্যবস্থা নেওয়াটাই অগ্রধিকার দেওয়া দরকার।

বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউপিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। নানামুখি পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বাজার স্বাভাবিক হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। কারণ এখনও অনেক দূর বাকি। বিশেষ করে গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে শুধু বিএসইসি নয় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। এসব জায়গায় যারা রয়েছেন, তাদের যোগ্যতা, সততা, আন্তরিকতা থাকতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে প্রচলিত বেশ কিছু নিয়মেরও পরিবর্তন আনা জরুরি। একই সঙ্গে অনিয়ম দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে আইনি সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। যেসব বিধি-নিষেধ রয়েছে সেগুলো কতটা সময় উপযোগী তা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে কোনো ধরনের ফাঁকফোকড় না থাকে তেমন একটি ব্যবস্থাপনা দাঁড় করাতে হবে। এক্ষেত্রে উন্নতবিশ্বের পুঁজিবাজারগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের সহায়তা করতে পারে।

Tagged