দীর্ঘ মন্দা, অস্থিরতা, অনাস্থা ও তারল্য সংকট কাটিয়ে দেশের পুঁজিবাজার এখন বেশ চাঙা। প্রতিনিয়ত চাঙা বাজারে বাড়ছে লেনদেন ও কোম্পানির শেয়ার দর। বিনিয়োগকারীরা স্বল্প মেয়াদের পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদের শেয়ারেও বিনিয়োগ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা প্রমাণের বিকল্প নেই।
পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে কোম্পানিগুলো নিজেদের নানামুখী উন্নয় করে থাকে। এটি করতে গিয়ে তাদেরকে নানা ধরনের নিয়ম মানতে হয়। তবে সব কোম্পানি সমসময় নিয়ম মেনে চলে না। কোনো কোনো কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা দেখা যায়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসব কোম্পানির দায়বদ্ধতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস নষ্ট হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধানের মধ্য দিয়ে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। এই কাজটি কতটা সঠিক উপায়ে হয়, তা দেখার সুযোগ থাকে না বিনিয়োগকারীদের। সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্তের ওপরই তাদের আস্থা রাখতে হয়। সুতরাং কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা রয়েছে কিনা এটি দেখতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই। এক্ষেত্রে হেরফের হলে ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণেই কোম্পানিগুলোর কাজে স্বচ্ছতা প্রমাণের বিকল্প নেই।