দেশে পুঁজিবাজার ধসের পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তদন্ত কমিটি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে তো? ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের ধসের পেছনে দায়ীদের বের করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, সুপারিশও কার্যকর করা হয়নি। এবারের অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে কি না—এমন শঙ্কাও রয়েছে অনেকের মধ্যে। যদিও কমিটি গঠনের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছিলেন, চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিশন তা প্রকাশ করবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান জিয়া উদ্দিন আহমেদ শেয়ারবাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি ভিআইপিবির চেয়ারম্যান ও পরিচালক। এ কোম্পানির বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি তদন্ত কমিটিতে থাকায় তদন্ত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হবে কি না—তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন ইয়াওয়ার সাইদ। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। তিনি এবারের অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিতেও রয়েছেন। দেশের প্রথম বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি এইমস বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। শেয়ারবাজারের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কথা তুলে ধরে ইয়াওয়ার সাইদ বলেছিলেন, শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড চালু হওয়ার পর ২৫ বছরে ২৫ কদমও এগোয়নি। কেন এটি হলো, আমরা তাও বের করব।
এই তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত কমিটি সময় পার করেছে। প্রথমে ৬০ দিন সময় ছিল, এরপর এক মাস করে চার দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। এরপরও কমিটি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবে সেই প্রশ্নও আছে।