বাংলাদেশে গত বছর শুধুমাত্র সরকারি হিসেবেই এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুরোগে ভুগেছিল। ১৬৪ জনের প্রাণহানীও ঘটেছিল। আমরা সচারাচর মশা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসায় বেশি মনোযোগ গিয়ে থাকি। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট আলাদা। ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়ানক মরণঘাতী করোনাভাইরাসকে আমাদের সামাল দিতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসের এই বাস্তবতায় ডেঙ্গুরোগ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে না আসে, সেদিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারের চেয়ে মশার শক্ত প্রতিরোধ করাটাই বাস্তবসম্মত হবে। মশা নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো করতে পারলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমবে এবং হাসপাতালেও চাপ কমবে। তাই আমাদেরকে এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মশা দমনে বেশি মনোযোগী হতে হবে।
এখন আমাদের পরিবেশে একই সঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু ভাইরাস বিস্তার করছে। করোনা ইতিমধ্যে সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ডেঙ্গু আস্তে আস্তে বাড়ছে। করোনা ছড়াচ্ছে মানুষের মাধ্যমে আর মশা ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। ফলে একই ব্যক্তি একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু দ্বারা সংক্রমনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটি হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে। এ কারণে বিশেষ করে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।