পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। নতুন কমিশনের কাজের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত সংস্কার। দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে অংশীজনদের সবাইকে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। তা হলেই কেবল সব কিছু অর্থবহ হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজারের সর্বাঙ্গীন সংস্কারের জন্য বিএসইসি গঠিত টাস্কফোর্স পুঁজিবাজারে নবতর যুগের সূচনা করতে পারে- যদি তারা আন্তরিক হন। এখানে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করে, তার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করারনোর। যে কাঠামো পুঁজিবাজারের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে।
বহু বছর আগে থেকে আমরা টাস্কপোর্সে কথা বলে আসছি। অবশেষে টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা কাজ করবে। এখানে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি ও অংশীজনরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। পুঁজিবাজারের সংস্কার ও গঠিত টাস্কফোর্সের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। সংস্কারের পথে সাময়িক অনেক সমস্যা উদ্ভুত হলেও সংস্কারের পর পুঁজিবাজার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে।
পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সবার প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই বাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার সম্ভব। এক্ষেত্রে এখানে যারা কাজ করবেন, তাদের যোগ্যতা সততার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যেনতেনভাবে কিছু করতে গেলে মানুষের হাতাশা বাড়বে। আশা করা যায় বর্তমান সময়ে সেই ধরনের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।