জেলে পাঠানো না গেলে অর্থিক জরিমানায় কারসাজি কমবে না

পুঁজিবাজারে কারসাজি করে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকিয়ে নেওয়ার পর দায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ধরনের ঘটনা দেশের পুঁজিবাজারে হরহামেশাই ঘটে। এতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয় না। হবে বলেও মনে হয় না। আমরা বারবার বলে আসছি, অনিয়মকারীদের কারাদণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু বিষয়টি কিছুতেই সংশ্লিষ্টদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাই এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের কোম্পানি নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে কোটি ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)


বিএসইসি গত মার্চ অভিযুক্ত ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে।


কিন্তু ওই ১৫ ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান কারসাজির মাধ্যমে মুনাফা করেছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা কোম্পানিটির ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার কারসাজি তদন্তে গঠিত কমিটির রিপোর্টে প্রমাণ হয় এবং অভিযুক্তদেরকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এ ধরনের জরিমানা পুঁজিবাজারের কারসাজিকে কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারবে না বলে আমাদের বিশ্বাস।



 

Tagged