জুয়াড়িদের ধরে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন জুয়াড়ি ধরতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। আমরা তখন ধরতে পারি, যখন স্টক এক্সচেঞ্জ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত দেয়। তারপর নিয়ম অনুসারে তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। ততক্ষণে বিনিয়োগকারী ও বাজারের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখনি আপনারা কারসাজির কোনো তথ্য পান, তখন দ্রুত লিখে দেবেন। বিনিয়োগকারীদের সচেতন করবেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের যেকোনো বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী সবসময় সচেতন। ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) পুঁজিবাজারের কোনো বিষয় নিয়ে এসএমএস করলে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন। সুতরাং এরকম একজন লিডার থাকার পর মার্কেট নিয়ে চিন্তা করার কোনো কিছু নেই।
কথা হচ্ছে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্ত উৎকর্ষের যুগে এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার কি কোনো উপায় নেই? নাকি সেই পথে হাঁটতে চাইছেন না সংশ্লিষ্টরা? আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছি বিরাজমান সংস্থাগুলো যদি দ্রত সময়ের মধ্যে এই কাজ করতে না পারে, তাহলে আলাদা টাস্কফোর্স বা সংস্থা গঠন করা হোক, যাদের কাজ হবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তদারকি করা। কারণ জুয়াড়িদের কাছে পুঁজিবাজার জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না। এটি দেশের জন্য বড় ধরনের একটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।