স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৩২১ রান করেই জয়ের অর্ধেকটা কাজ সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অপেক্ষাটা ছিল কত কম রানে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেওয়া যায়। বোলাররা জিম্বাবুয়েকে ১৫২ রানে থামিয়ে দিলে ১৬৯ রানের বিরাট এক জয় পায় টাইগার বাহিনী।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের জয়টিই এত দিন ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। আরও একটি দিক দিয়ে এ জয় গুরুত্বপূর্ণ। জুন-জুলাইয়ের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে হারানোর পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জয়টা অধরা হয়ে ছিল বাংলাদেশের। ওয়ানডে টানা ৫ ম্যাচ হারের পর জয়ের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশী বোলারদের তোপের মূখে পড়ে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তিনাশে কামুনহুতামওয়েকে বোল্ড করে সাজ ঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। রেজিস চাকাভা আর চামু চিভাভা প্রতিরোধ গড়লেও থাকতে পারেনি বেশিক্ষণ। আবারো সেই সাইফউদ্দিন; এবার এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন চাকাভা। অধিনায়ক মাশরাফির বলে লং অনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন চিভাভা। দীর্ঘ ২৫৪ বল পর উইকেট পান মাশরাফি। মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো যাওয়া-আসায় ব্যস্ত থাকেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা।
এরপর তাইজুল ইসলামের শিকার হন ব্রেন্ডন টেলর। সিকান্দার রাজা আর ওয়েসলি মাধেভের ৩৫ রানের জুটি গড়ে উঠলেও বেশি সুবিধা করতে পারেনি। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন রাজা। ৩২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। মাধেভেরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাশরাফিকে ক্যাচ দিয়ে। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে মাধেভেরের ব্যাট থেকেই এসেছেন সর্বোচ্চ ৩৫ রান।
রিচমন্ড মুতুম্বামি আর টেনোটেন্ডা মোতুমবদজি একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ২২ রানের বেশি এগোতে পারেননি। মুতুম্বামি হন রান আউট। মোতুমবদজিকে সাইফউদ্দিনের ক্যাচে ফেরান মাশরাফি।
এই জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছেন লিটন কুমার দাস। আগামী ৩ মার্চ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামবে দুইদল। জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় মাশরাফিবাহিনী। এবং জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ফিরতে চায় জিম্বাবুয়ে।
এসএমজে/২৪/বা