গ্রাহকের ৪৭ কোটি টাকার হদিস নেই: গণমানুষের টাকা কি এতো অনিরাপদ?

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ হাউজের এমডি বিনিয়োগকারীদের ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে আইনশৃঙক্ষলা বাহিনীর হাতে বন্দি। এই ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও  ১৫টি ব্রোকারহাউজ হাউজ তাদের গ্রাহকদের জমাকৃত টাকার প্রায় ৪৭ কোটি টাকার হিসাব দিতে পারছে না। এখানে আসলে হচ্ছেটা কী? সম্প্রতি ডিএসইর বরাতে গণমাধ্যমে এ খবর আসে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ডিএসই আগে থেকে ব্রোকারহাউজগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করলে হয়তো ব্রোকারহাউজগুলো গ্রাহকদের এত টাকা সরাতে পারতো না। পাশাপাশি ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের আগেও শাহ মোহাম্মদ সগীরসহ যে কেলেঙ্কারিগুলো হয়েছে, সেগুলো এড়ানো যেত।

আমরা বলতে চাই, গণমানুষের টাকা কি এতোটা অনিরাপদ? তারা সরকারের স্বীকৃত উপায়ে রোজগারের পথ বেছে নিয়ে কি ভুল করেছে? এই প্রশ্নের উত্তর কী? অতীতের সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে হয়তো এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যেতো।  সেটি হয়নি বলেই আজকে এতো বড় পুকুর চুরির মতো ঘটনা ঘটছে।

বলার বিষয় হচ্ছে মানুষেরে বৈধ টাকার বিনিয়োগের নিরাপত্তা দেয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব। আমরা আশা করবো মানুষ যাতে তাদের টাকা ফেরত পায় এবং অনিয়মকারীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।

Tagged