খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে সাইফ পাওয়ারের বিপুল ক্ষতি, নিহত ১

গত ২৬ অক্টোবর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে সাইফ পাওয়ায় টেক লিমিটেড। এতে প্রতিষ্ঠানটির একজম কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

এই অগ্নিকাণ্ডে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সাইফ পাওয়ায় টেক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের একাধিক ফ্লোরে সাইফ পাওয়ায়ের অফিস রয়েছে। সাইফ পাওয়ারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মারা যান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আমিনুজ্জামামসহ আহত হয়েছেন ১৮ জন। আহতরা হলেন- সেফটি অফিসার গোলাম রাব্বানী, এজিএম নাজমুল হাসান, হিসাব বিভাগের নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসন বিভাগের সুফী সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন, এইচ আর এক্সিকিউটিভ কায়সার আরাফাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী চারজন যথাক্রমে- তারিকুল, শাকিল, আনোয়ার এবং মামুন প্রমুখ।

সরেজমিনে দেখা যায় একাধিক ফ্লোরে সাইফ পাওয়ারের অফিসগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
আহত সবাই এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যেই পরিচালক আমিনুজ্জামান ছাড়া বাকী সবাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মোঃ হাসান রেজা জানান, ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসের স্তুপের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে কিছুটা সময় লাগছে।

প্রায় ২৭ বছর ধরে দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে সাইফ পাওয়ারটেক। প্রকৌশল খাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। চট্টগ্রাম ও দুবাইয়ের বন্দরের মালামাল হ্যান্ডেলিং, নদী খনন, ব্যাটারি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুনঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানী, এলইডি লাটিং সল্যুশন, ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনসহ নানাবিধ মৌলিক ব্যবসা আছে সাইফ পাওয়ারটেকর।