নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, তার স্ত্রী নিপা সুলতানাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা–ডিবি। আটক হওয়া অন্য দুজন হলেন–মো. খোরশেদ ও মো. জুয়েল।
সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর– নোয়াখালী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ। ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে তার গ্রেপ্তার হওয়ার সময় নিয়ে ভিন্নতা আছে। আগের দিন রোববারই (৫ জুলাই) শোনা গিয়েছিল শহীদুল্লাহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার্থে তখন গ্রেপ্তার না দেখানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত মাসের (জুন) শেষ সপ্তাহে হঠাৎ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা অফিস বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, তার স্ত্রী নিপা সুলতানা। তারা গ্রাহকদের টাকা ও শেয়ার আত্মসাত করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন গ্রাহকরা। হাজী নিশাত নামে একজন গ্রাহক ২৫জুন রমনা থাকায় একটি জিডিও দায়ের করেন।
অন্যদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৫ জুন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ, এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। পাশাপাশি তারা যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলারক্ষাবাহিনীকেও জানানো হয় বিষয়টি। তখন থেকেই তাদেরকে আটক করার জন্য মাঠে ছিল পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা।
তবে মো. শহীদল্লাহ ও তার দোসররা বিনিয়োগকারীদের কী পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার আত্মসাত করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে ব্রোকারহাউজটির গ্রাহকদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ডিএসই। তারা এক সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছে, কারো টাকা ও শেয়ার খোয়া গিয়ে থাকলে তা ফেরত পাওয়ার সব ব্যবস্থা করবে ডিএসই।
এসএমজে২৪/কা