ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা

বাংলাদেশের গর্ব করার মতো সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু সেই অর্জনকে নানাবাবে প্রশ্নব্ধি করা হয়েছে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী দুর্নীতি। এটি জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। এর থেকে বের হতে না পারলে ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর মনে হবে না। দেশের শেয়ারবাজারও এর বাইরে নেই।

আমাদের শেয়ারবাজারকে “উদীয়মান টাইগার” বলা হয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় এই কথা কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বলা যায় এই টাইগারের অবস্থা এখন অত্যন্ত নাজুক। এক সময় যা ছিল উদীয়মান সম্ভাবনা ও উন্নতির প্রতীক, তা এখন নানামুখী সংকটে।

কার্যকর পরিকল্পনার অভাব, দুর্নীতি, বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা এবং সঠিক নীতির অভাবেই দেশের শেয়ারবাজার সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারেনি। এতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে না এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও ক্রমাগত আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।

দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়া শ্রীলংকা কিংবা অর্থনৈতিক সংকটে পর্যুদস্ত পাকিস্তানের শেয়ারবাজার গত বছর বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এশিয়ার উদীয়মান শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে এ দুই দেশের শেয়ারবাজারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার গত বছর বিভিন্ন সূচকের দিক থেকে সবার নিচে অবস্থান করছে।

১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নামে পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘ ছয় দশকের পথচলায় প্রত্যাশা ছিল দেশের শেয়ারবাজার পরিণত হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এর জন্য দেশের প্রতি দায়বোধ ও সততার অভাবই সব চেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।

Tagged