ক্যাটাগরি পরিবর্তনের নতুন নির্দেশনা জারি করবে বিএসইসি

এসএমজে ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারণে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে পারছে। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের এ নিয়মে একটি নতুন নির্দেশনা জারির বিষয়ে কাজ করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) । সাম্প্রতিক কমিশনের জেড ক্যাটাগরি সংক্রান্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। যা দূর করতেই আরেকটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে জারি করা বিএসইসির আদেশ অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর ২ সমাপ্ত অর্থবছর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা না করলে সে কোম্পানিটিকে জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। যা পূর্বের নিয়মানুসারে ছিল- ১ বছর লভ্যাংশ ঘোষণা না দিলেই তাকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হত। সুতরাং এখন থেকে কোন কোম্পানি এক বছর লভ্যাংশ ঘোষণা না দিলেও তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে না। যা শুধু `জেড’ ক্যাটাগরি বিষয়েই বলা হয়েছে। সেখানে অন্য ক্যাটাগরির বিষয়ে আগের আদেশই বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের কম ডিভিডেন্ড দিলে কোম্পানি `বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।

জেড’ ক্যাটাগরি সংক্রান্ত বিএসইসির নতুন আদেশ এবং অন্যান্য ক্যাটাগরি বিষয়ে আগের আদেশ বহাল থাকার কারণে এ বিষয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা ও ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

তাদের মতে, বিএসইসির নতুন আদেশ অনুসারে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করলে আগের মত `জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিটির ক্যাটাগরি অপরিবর্তিত থাকছে। অন্যদিকে, ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলে ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে `বি’ তে নেমে যাবে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য ডিভিডেন্ড দেয়ার চেয়ে না দেয়াই ভালো।

এ অবস্থায় আইনী অস্পষ্টতার সুযোগে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ঠকাতে ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করেই ক্যাটাগরি ধরে রাখার সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করে বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে কমিশন বলছেন- এক বছর লভ্যাংশ ঘোষণা না দিলে কোন কোম্পানিকে নতুন আদেশ অনুসারে `জেড’ ক্যাটাগরিতে না পাঠানো হলেও কোম্পানিটি যদি `এ’ ক্যাটাগরিতে থাকে তাহলে সেটি `বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাবে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের কম ডিভিডেন্ড দিয়েই ক্যাটাগরি ধরে রাখার কোনো সুযোগ নেই।সূত্র: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

এসএমজে/২৪/মি

Tagged