পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো অনেক সময়ই মাত্রাছাড়া অনিয়ম করে থাকে। এসব কোম্পানিতে সাধারণ মানুষের অংশীদারিত্ব রয়েছে, কিন্তু তাদের স্বার্থ দেখার যেন কেউ নেই! কোম্পানিগুলো আইনি দুর্বলতা, আইনের প্রয়োগ না হওয়া এবং উপযুক্ত আইন না থাকার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নেয়। এক্ষেত্রে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া সামান্য অর্থ জরিমানা পরিশোধ করে পার পেয়ে যায় কোম্পানিগুলো। পুঁজিপতিদের কাছে সামান্য অর্থ জরিমানা মোটেই কঠিন কিছু নয়। তাই এ ধরনের অর্থ জরিমানা করে তাদের অনিয়ম রোধ করা যাচ্ছে না এবং যাবেও না। এ জন্য অপরাধের ধরন অনুযায়ী কারাভোগের মধ্য দিয়ে গেলে কোম্পানির কর্তারা সাধারণ মানুষের মর্মবেদনা অনুভব করতে পারবেন। কারণ তারা পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলে ভোগ-বিলাসী জীবন যাপন করবেন আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনে অনিয়মের শিকার হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবেন এটি কাম্য হতে পারে না।
পুঁজিবাজারের অভিভাবক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই সংস্থারই বিষয়গুলো ভেবে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যদি আইনি দুর্বলতা থাকে সেটি কাটানোর জন্য সরকারের দ্বারস্থ হতে পারে বিএসইসি। প্রয়োজনে নতুন আইনও করা যেতে পারে। সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির বিধান হয়, পুঁজিবাজারেও তেমনটি দরকার। এতে কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বাড়বে বলে আশা করা যায়। কারণ উন্নত বিশে^র পুঁজিবাজারে অনিয়মের জন্য ৭০ বছর জেল হয়েছে এমনও উদাহরণ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তারা যদি পারে, আমাদের পারবো না কেনো? কোথায় আমাদের দুর্বলতা? সেটি খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবি।
ব্রেকিং নিউজ :