কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ ছাড়া পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক উত্থানই কাম্য। বাজারবান্ধব পদক্ষেপ নিলে দ্রুত বাজারের সূচকে উত্থান ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। এতে বাজারের প্রতি পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। তারা লেনদেনে সক্রিয় হবেন। লেনদেনের পরিমাণও বাড়বে। তবে সূচকের উত্থান দেখানোর জন্য কোনো ধরনের কৃত্রিমতা কিংবা চাপাচাপি সঠিক কাজ হবে না। এটি হলে বাজার কিছু দিনের জন্য ভালো হলেও পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পুঁজিবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে নানা ধরনের প্রভাব কাজ করে। তবে সব প্রভাবই স্বাভাবিক প্রভাব নয়, কৃত্রিম বা কারসাজিও থাকে। এ কারণে পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রকসংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে বার বার বিনিয়োগকারীরা প্রতারণার শিকার না হন। এমনিতেই গত প্রায় এক দশক ধরে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভরসার জায়গায় শুধু চিড় ধরেছে বলবো না, ধসও নেমেছে। তারা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। এই বিশ্বাস পুনরুদ্ধার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর একযোগ কাজ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে উপর মহলের নজরদারিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। না হলে অশুভ শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ভেস্তে যেতে পারে সব পরিকল্পনা।