কারসাজি বন্ধে কমিটি: কারা থাকবেন, কী করবেন?

সারা দুনিয়ায় যেমনই হোক, আমাদের দেশে অনিয়ম বা দুর্নীতি বন্ধে কমিটি গঠনের যে সংস্কৃতি, সেটি অনেক ক্ষেত্রেই ফলপ্রসূ নয়। তাই মানুষ এসব কমিটি গঠন আর প্রতিবেদনের পর প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে অনেকটাই হতাশ। তারপরও আশাবাদী না হয়ে উপায় নেই। নিরাশ হয়ে বেশি দূর যাওয়া যায় না। সম্প্রতি পুঁজিবাজারের কারসাজি বন্ধে বিশেষ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ ছাড়াও দ্রুত শিল্পায়ন বিকাশে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেভাবেই হোক এই বাজারকে শক্তিশালী করতেই হবে। এজন্য যা কিছু করা দরকার সকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিশ্চয়ই পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বার্তা। এটি আমরাও বিশ্বাস করি। একইসঙ্গে মনে রাখা দরকার, আগেও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নানা বিষয়ে কমিটি গঠন হয়েছে। সেসব কমিটি অনেক ধরনের সুপারিশ করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- সেগুলো কি সম্পূর্ণ কার্যকর হয়েছে? সেখানে আস্থা রাখার মতো কিছু ঘটেছে?
এখানে আরো একটি জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে- এ কমিটিতে কারা থাকবেন এবং কী করবেন? কারণ যত ভালো উদ্যোগই হোক যদি যোগ্য লোক না হয় তাহলে সেটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ওই কমিটি আসলে কী করবে, সেটিও পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া কেবল বৈঠকের পর বৈঠক করে আর বারবার কমিটি করে কিছু হবে বলে মনে হয় না। আমরা মনে করি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যোগ্য লোকদের দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন। তবেই কার্যকর কিছু সম্ভব হতে পারে।

Tagged