দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ, নতুন করে উৎপাদনে ফেরার কোনো খবরও নেই। অর্ধযুগ ধরে করতে পারেনি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এক দশক ধরে শেয়ারহোল্ডারদের দিচ্ছে না কোনো লভ্যাংশ। রয়েছে ঋণের ভার। ‘জুট স্পিনার্স লিমিটেড’ নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেই কোম্পানির শেয়ারের দাম গত দুই মাসে বেড়েছে ৮০ টাকার বেশি। মূলত ‘গুজব’ ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র। বিষয়টি কারসাজি কি না, তা খতিয়ে দেখছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ১৫ জুন থেকে শেয়ারটির দাম বাড়ছে। চলতি বছরের ১৫ জুন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১২৫ টাকা ৯০ পয়সায়। সেখান থেকে গত দুই মাসে ৮০ টাকা বেড়ে রোববার (২১ আগস্ট) লেনদেন হয়েছে ২০৬ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বড়েছে ৮০ টাকা ২০ পয়সা।
কোম্পানিটির ১৭ লাখ শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬০ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাকি ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে।
‘শিগগিরই ঋণ পরিশোধ করে কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরবে’- বাজারে এমন গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারটির দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত যাবে বলেও গুজব ছাড়নো হচ্ছে। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে বিষয়টি কারসাজি। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের লাখ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।