কারসাজির বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও কঠোর হওয়া উচিত

পুঁজিবাজারে দরপতন থাকবেই। তবে সেটি অযৌক্তিক দরপতন নয়। স্বাভাবিক নিয়মে উত্থান-পতন ক্ষতিকর নয়। কোম্পানির অবস্থা ভালো হলে, শেয়ারের দর বাড়বে। আবার কোম্পানির অবস্থা খারাপ হলে শেয়ার দর কমবে। কোম্পানির লাভ-লোকসানের সঙ্গে পুঁজিবাজারের শেয়ারের দর ওঠা-নামার বিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ঝামেলা হয় তখন, যখন কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানো হয়। এ কারণেই শেয়ারের কারসাজির বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও কঠোর হওয়া উচিত।

কিছু কোম্পানির কারণে সামগ্রিকভাবে বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ, বাজারে যখন দাম পড়তে শুরু করে, তখন সব শেয়ারেরই দাম পড়ে যায়। এটি কোনোভাবেই সঠিক নয়। এতে বিনিয়োগকারীরা ভীত হয়ে যখন বিক্রি শুরু করেন, তখন বাছবিচার ছাড়া সব শেয়ার বিক্রি করেন। এর ফলে বাজারে ধস নামে। এই ধরনের প্রবণতা আমাদের বাজারে অনেক বেশি। এটি মূলত কারসাজির কারণেই হয়। তাই কারসাজি রোধ করতে পারলে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক সময় ভালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারপরও বাজার থেমে থেমে অস্বাভাবিক বা অস্থির হয়ে উঠছে। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

Tagged