ওটিসির কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপায় জানালো বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজার থেকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) প্লাটফর্মে লেনদেন হওয়া কোম্পানির বের হয়ে যাওয়ার উপায় জানিয়ে নির্দেশনা প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া মূল মার্কেটের বাইরে ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) কোন কোম্পানি থাকলে, তার জন্যও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলায় হয়েছে, ওটিসি প্লাটফর্মের কোম্পানি, মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানি ও এটিবিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার কিনে নিয়ে শেয়ারবাজার থেকে চলে যেতে পারবে। তবে ওইসব প্লাটফর্মের সব কোম্পানি চলে যেতে পারবে না।

পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যেতে হলে ওইসব প্লাটফর্মের কোম্পানির কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের কথা বলেছে কমিশন। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২ বছরের বেশি সময় বাণিজ্যিক উৎপাদনে না থাকলে, ৩ বছর ধরে লোকসানে থাকলে, পরিশোধিত মূলধনের থেকে পূঞ্জীভূত লোকসান বেশি হলে, টানা ৩ বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে, টানা ২ বছর এজিএম করতে ব্যর্থ হলে, ডেবট সিকিউরিটিজের বিপরীতে টানা ৩ কিস্তি সুদ বা কূপন বা মুনাফা প্রদানে ব্যর্থ হলে এবং ডেবট সিকিউরিটিজের টানা ২ কিস্তি প্রদানে ব্যর্থ হলে।

বিএসইসির ওই নির্দেশনায় পুঁজিবাজার থেকে চলে যাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে কি ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে, শেয়ার দর নির্ধারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তির বিষয়বস্তু, পাবলিকলি ঘোষণার বিষয়বস্তু, শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য এজিএম বা ইজিএম আয়োজন, স্টক এক্সচেঞ্জের এসক্রো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রক্ষনাবেক্ষনের পদ্ধতি, শেয়ার সেটেলমেন্টের প্রক্রিয়া এবং সেটেলমেন্টের পরে স্টক এক্সচেঞ্জ ও আবেদনকারীর কমিশনে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

এসএমজে/২৪/রা

Tagged