এখন দরকার পুঁজিবাজারে সুশাসন কায়েম করা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এর জন্য বাজারকে ঢেলে সাজাতে হবে। আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।

বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক দরপতনের আতঙ্কে লাভ বা লোকসানের দিকে না তাকিয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন। কারণ গত প্রায় দুই বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

যদিও দরপতন রুখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত বছরের জুলাই মাসে দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরসীমা আরোপ করেছিল, যা এখনও কার্যকর আছে। এ দর সীমা বর্তমান বাস্তবতায় অনেক বেশি, যার কারণে এ দরে শেয়ার কিনতে কেউ আগ্রহী নয়। ফলে সিংহ ভাগ শেয়ার কেনাবেচার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

এটা সত্য যে বাজারটি এখনও খুবই ছোট এবং তারল্য সংকটে আছে। জিডিপির তুলনায় বাজার মূলধন বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বাজারগুলোর একটি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। তারপরও গত দুই দশকে ভারত বা গত এক দশকে ভিয়েতনামের মতো কোম্পানির ব্যবসা ও মুনাফা বৃদ্ধির কারণে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ থেকে  মূলধনি মুনাফা পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা এশিয়া অঞ্চলের শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে খুবই কম।

গত এক দশকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা এশিয়ার অন্য অধিকাংশ দেশের তুলনায় বেশি। আগামী পাঁচ বছরে তা ৭ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। এমনকি সম্প্রতি জনপ্রতি জিডিপি হারে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়ার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদের জনমিতির সুবিধাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি বাজার হতে যাচ্ছে। এ বাজার ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের থেকেও বড় হবে। তাই এখন দরকার পুঁজিবাজারে সুশাসন কায়েম করা।

Tagged