একনজরে নতুন বছরের পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘ ১০ বছর পর চলতি বছরের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মনে নতুন আশার আলো জেগে উঠলেও সেটি যেনে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। কারণ কতিপয় লোক এ বাজারকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের কারসাজির ছকেই সূচকের উত্থান-পতন হয়। তাদের মতিগতির ওপরই যেন নির্ভর করে বাজারের ভালো-মন্দ। এ ধরনের পরিস্থিতির কবে অবসান হবে এটিই বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন। এবছরের প্রথম কার্যদিবসে (৩ জানুয়ারি ২০২১) সূচক ৫৬১৮ পয়েন্ট ও ১৯২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেইসাথে এবছরের জানুয়ারিতে মাত্র ৫ দিন লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ছকের মাধ্যেমে চিত্রটি দেখানো হল-

তারিখ সূচকের অবস্থান লেনদেনের পরিমাণ(টাকা)
৪-১-২০২১ ৫৬৫২.৩২৭৮৯ ২১৯৩ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার
৫-১-২০২১ ৫৬০৯.৭০৬৬৪ ২৫৪৬ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার
১৩-১-২০২১ ৫৭৭০.০০৫০০ ২১০৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার
১৪-১-২০২১ ৫৯০৯.৩০৮২৬ ২০৭০ কোটি ৮৫ লাখ ৪৮ হাজার
১৭-১-২০২১ ৫৮৫০.৪৩৭২৬ ২৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার

গত ১৪ জানুয়ারি থেকে যদি এ মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি আমরা লক্ষ্য করি, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন প্রায় ১২শ কোটি টাকা কমেছে। এখন বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং সুধীমহলের প্রশ্ন, একদিন লেনদেন ২৫০০ কোটি দেখিয়ে আবার সেই লেনদেন ৭শ কোটি নিয়ে আসা এটা কি গার্ড অব অনারের মতো গোলা-বারুদহীন তোপদ্ধনী কিনা? বিনিয়োগকারীদের দেখানোর জন্য এভাবো পাতানো বাজার আর কতদিন? এর শেষই বা কোথায়? বিনিয়োগকারীরা পুঁজির বিনিময়ে মুনাফা চায়। সারা বিশ্বে লক্ষ্য করলে দেখা যায় শেয়ারবাজারে পতন হলে ট্রাস্ট ফোর্স গঠন করে এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্র এর একেবারেই বিপরীত। পুঁজিবাজার থেকে যত দিন কারসাজি নির্মূল করা না হবে ততদিন এই বাজারের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এমনটাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধারণা।  এই পতনের খেলায় যে শুধু বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয় সেইসাথে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের গোটা অর্থনীতিতেও।

Tagged