নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণীমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। আজ দেশের সব তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ জুন পর্যন্ত প্রিমিয়াম পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাঁকে খেলাপি করা হবে না। বরং যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মধ্যে তার ঋণ পরিশোধ করেন তবে তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতার তালিকায় রাখা হবে।করোসাভাইরাসে ব্যবসা-বাণিজ্যে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আজ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্ববাণিজ্য ও দেশিও বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের কারণে এ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যার ফলে অনেক ঋণগ্রহীতাই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম হতে নাও পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত ওই মানেই রাখতে হবে। এর চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
এসএমজে/২৪/মি