উত্থান-পতনের চেঞ্চুরি নয়, বিনিয়োগকারীদের কান্না বন্ধ হোক

টানা আট দিন ৫৫৫ পয়েন্ট সূচকের পতন ঘটিয়ে অবশেষে উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। আগের দিন পতনের সেঞ্চুরির পর গতকাল সোমবার উত্থানের সেঞ্চুরি দেখলো বিনিয়োগকারীরা। এমন ধরনের বাজার থেকে খুব একটা আশা করাও যায় না। কারণ এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই উত্থান-পতনের সেঞ্চুরি নয় বিনিয়োগকারীদের কান্না বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

গত আট কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দেখা গেছে বিপর্যয় চিত্র। কোনদিন সকালে উত্থান দেখা গেলেও বিকালে মিলেছে বড় পতন। আবার কোনদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পতন। এবার দেখা গেল উল্টো চিত্র। একদিনের ব্যবধানেই বাজারের চেহারা পাল্টে গেছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯৫ শতাংশের দরই বেড়েছে।

তবে পুঁজিবাজারের এই সুবাতাসেই বিনিয়োগকারীদের বিচরণ খুব একটা বাড়েনি। তারা সক্রিয় না হওয়ায় বাজারের লেনদেনও বাড়েনি। আগের দিনে ধসের বাজারে যত টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল, আজ বড় উত্থানের বাজারেও ততটা হয়নি।

টানা পতন ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে নিশ্চিতভাবেই কাজ করেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের ভূমিকা এবং বিএসইসির মার্জিন ঋণ বাড়ানোর ঘোষণা।

ঈদের পর আট কর্মদিবসে সূচক পড়ে যায় ৫৫৫ পয়েন্ট। বাজারের এমন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় জরুরিভাবে অর্থমন্ত্রী বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে।

এই বৈঠকে মন্ত্রী পুঁজিবাজার নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন যা বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। আর যেহেতু এই বাজারে আস্থার সংকটটাই প্রধান সমস্যা, সেখানে দরপতন ঠেকাতে সরকারের এই ভূমিকা বিনিয়োগকারীদের মনের শঙ্কা দূর কতটা দূর করতে পারে দেখা যাক।

Tagged