ইনসাইডার ট্রেডিং: ক্ষতির বোঝা চাপে বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইয়াকিন পলিমার গত চার বছর ধরে মূলধন সংকটে রয়েছে। করোনার পরিস্থিতির কারণে কোম্পানিটির ব্যবসায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানের কবলে পড়েছে।

লোকসানের কবলে পড়ায় কোম্পানির শেয়ারদরও তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিছুদিন ধরে এর শেয়ার দরে হঠাৎ চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। তারপর দ্বিগুণের বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়ার পর কোম্পানিটির মুনাফায়ও দেখা গেল বাজিমাত। তেলেসমাতি মুনাফা প্রকাশের আগেই কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়ে গেল আকাশচুম্বী। যে কারণে কোম্পানির বিরুদ্ধে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কারসাজি চক্রের সঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যোগসাজস করে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ানো বাড়িয়েছে। এরপর চড়া দরে বিনিয়োগকারীদের কাঁধে সেই শেয়ার চাপানোর জন্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মুনাফাও বাড়িয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজরেও এসেছে।

বিএসইস সূত্র বলছে, কোম্পানিটির মুনাফা প্রকাশ করার আগে শেয়ারটিতে ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কি না এবং সর্বোপরি আর্থিক প্রতিবেদন ঠিক আছে কী না, তা খতিয়ে দেখবে বিএসইসি। এতে কারসাজির প্রমাণ মিললে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরাবরই দেখা যায় ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের কারণে যে ক্ষতি হয়, তার পুরোটাই চাপে বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার।

Tagged