দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে মূলত দুশ্চিন্তা মূলত অভ্যন্তরণী বিষয়। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বহু আগে থেকেই শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীরা দুর্দশায় ছিলেন এবং আছেন। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে কী ঘটলো তারচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে কী ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বলা বাহুল্য দীর্ঘ সময় ধরে দেশের অর্থনীতি চাপে রয়েছে। তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও আছে। মূল্যস্ফীতি থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে মানুষ বড় কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে না।
দেশের প্রধান রপ্তানি খাত বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের ৫৪টি কোম্পানি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত। এর বাইরে জুতা, হিমায়িত মৎস্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং সিরামিক খাতের আরও কিছু তালিকাভুক্ত কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানির কারণেই ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লাগবে পোশাক খাতে। এরপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতেও বড় প্রভাব পড়বে। পাল্টা শুল্কের কারণে দেশের রপ্তানি খাতে কী প্রভাব পড়ে, তা বুঝতে অবশ্য আরও কয়েক মাস লাগবে। কিন্তু তার আগেই এ নিয়ে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ, দেশের রপ্তানি খাতের বেশ কিছু কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। তাই বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, রপ্তানি কমলে তাতে এসব কোম্পানির আয়ও কমতে পারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে কোম্পানির শেয়ারের দাম ও বছর শেষের লভ্যাংশে। তবে কোন ধরনের পরিস্থিতিতি দাঁড়া সেটি এখনই বলে দেওয়া যায় না। দেখা বিষয় আছে। কারণ আমাদের শেয়ারবাজারে বৈশ্বিক প্রভাব কম পড়ে।