এসএমজে ডেস্ক
দেশের পুঁজিবাজারে মাঝে কমলেও কয়েক দিনের দরপতনে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরসীমায় পড়ে থাকা কোম্পানির সংখ্যা। গত রোববার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩৪টিতে, যা তালিকাভুক্ত মোট কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় ৬০ শতাংশ। গত বুধবার ফ্লোর প্রাইসে ছিল ২১৪টি। সর্বশেষ দুই কার্যদিবসেই বেড়েছে ২০টি। গতকাল সোমবার বড়দিনের সরকারি ছুটির কারণে লেনদেন হয়নি।
ফ্লোর প্রাইসের ওপর কেনাবেচা হওয়া কোম্পানিগুলোর তুলনায় ফ্লোরে পড়ে থাকা কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেশি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাজারের মোট ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের বাজার মূল্য ১ লাখ ৭২ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩০ কোটি টাকাই ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে, যা মোটের ৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলেও টাকার অঙ্কে তাদের মোট বিনিয়োগের ৭৯ শতাংশ শেয়ার কেনাবেচা করতে পারছেন না। বর্তমানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে ৩৯২টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২৫৫টি।
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ফ্লোর প্রাইসে আটকা পড়া শেয়ারের ক্রেতা থাকে না। নতুন করে এসব শেয়ার কিনে কেউ বিনিয়োগ আটকে রাখতে চান না। স্বাভাবিক লেনদেন প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করতে না পেরে কেউ কেউ ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে বিক্রি করছেন।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৪১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা ২৩৪ কোম্পানির মধ্যে ১৬৭টির ৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয় ব্লক মার্কেটে। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্লক মার্কেটে যত শেয়ার কেনাবেচা হয়, তার বড় অংশই থাকে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা শেয়ারগুলোর। যেমন– রোববারের ব্লক মার্কেটের ৭৭ শতাংশের বেশি লেনদেন ছিল এমন শেয়ারের। শুধু রোববার নয়, লেনদেনে এমন চিত্র প্রতিদিনের।
রোববারের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ারগুলোর মোট বাজার মূলধন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাজার মূলধনের ৮০ দশমিক ৭৭ শতাংশ অংশই এখন ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।