অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি: তদন্তের নির্দেশ, তারপর কী?

পুঁজিবাজারে এক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে বা কমেছে, সেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে তদন্তের এ নির্দেশ দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের টানা উত্থানে অনেক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ হয়ে গেছে। নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড করেছে রবি আজিয়াটা। তাতে ১৫ দিনেই কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারের দর সোয়া ছয় গুণ বেড়ে হয়েছে ৬৩ টাকা। এক মাসে রবির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৩২ শতাংশ। এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩১ টাকার শেয়ারের দর এক মাসে আড়াই গুণ বা ১৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। সব কোম্পানির এ রকম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

কথা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত হয়। তদন্তের পর আর কী হয় সেটি জানা যায় না। তাই আমরা আশা করবো তদন্তই শেষ নয়, এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tagged