এসএমজে ডেস্ক:
অবশেষে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ ১৮ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পূন্ন করে শুরু হতে যাচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা’। বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মূল মঞ্চে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির ইংরেজি অনুবাদ ‘নিউ চায়না-১৯৫২’–এর মোড়ক উন্মোচন করবেন।
করোনা মহামারির নানা বাধা পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘অমর একুশে বইমেলা’। বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মূল মঞ্চে বইমেলার উদ্বোধন করে বক্তব্য দেবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ নিউ চায়না-১৯৫২– এর উন্মোচন করবেন।
সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আজ বিকেল ৩টায় শুরু হবে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপরে সূচনা সংগীত শেষে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০’ দেওয়া হবে।
এদিকে দেশব্যাপী নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বইমেলা ঘিরে অনিশ্চয়তাও দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির অবনড়ঘটলে যে কোনো সময়ই যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে রেখেছেন আয়োজকরা।
এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ছুটির দিন মেলা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। মেলা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
এবারের বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় এক ইউনিটের স্টল ২৮৬টি, দুই ইউনিটের স্টল ১৪১টি, তিন ইউনিটের স্টল ৫৪টি ও চার ইউনিটের স্টল রয়েছে ২৬টি। সব মিলিয়ে এবারের মেলায় ৫২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগ, পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ মোট ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর বই ও সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকারের জন্য একটি করে স্টল থাকবে।
এসএমজে/২৪/সু