দেশের শেয়ারবাজারে অভিজ্ঞ লোকের ঘাটতি রয়েছে। যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরা আবার নানা ধরনের সুবিধাভোগী। ফলে কাজ করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে করতে হয়। এ কারণে টাস্কফোর্সসহ বাজারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। যিনি জানেন না, তিনি কাজ করবেন কীভাবে। তাই কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকাটা খুই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অভিজ্ঞদের দায়িত্ব না দিলে কাজ হবে না।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাত্র চার কার্যদিবসে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৮০০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ওই সময় লেনদেনও বেড়ে ২ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছিল। আট মাস পর এসে এখন বাজারের লেনদেন কমে নেমেছে ৪০০ কোটির ঘরে, আর সূচকও ১ হাজার পয়েন্ট কমে আবার ৫ হাজারের কাছাকাছি নেমে এসেছে। শেয়ারবাজারের লেনদেন কমে গেলে তাতে বিনিয়োগকারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শুরু করে ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ বাজারের অংশীজনেরাও বড় লোকসানের মুখে পড়েন। ২০১০ সালের ধসের পর থেকে শেয়ারবাজারের এমন পরিস্থিতিই চলছে। মাঝেমধ্যে অবশ্য কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও সেটি স্থায়ী হয়নি। এ কারণে হঠাৎ হঠাৎ আশার ঝিলিক দেখা গেলেও আবার হতাশার মুখোমুখি হতে হয় বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এ অবস্থায় দেশের শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাই এখন সবার চাওয়া।