অবণ্টিত ডিভিডেন্ড নিয়েও কারসাজি: বিএসইসির উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে পরে থাকা অবণ্টিত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) জমা দেয়ার জন্য বার বার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করছে না কোম্পানিগুলো। পাশাপাশি অবণ্টিত অর্থ বিতরণে কারসাজি করার অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে।

সিএমএসএফের সহযোগিতায় কমিশন যেসব কোম্পানি দাবিদারহীন বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত অর্থ জমা এখনো ফান্ডে জমা দেয়নি, সেসব কোম্পানিতে অডিটর নিয়োগ করা হবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে জানানো হয়। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর অতীত ইতিহাস যেমন-ঋণ খেলাপী কী না, নন-কমপ্লায়েন্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানি কী না তা দেখে কমিশন অডিটর নিয়োগ করা হবে। চারটি অডিটর কোম্পানিকে বাছাই ও নিয়োগ করবে বিএসইসি। অডিটরের সমস্ত ব্যয় বহন করবে সিএমএফএস ফান্ড।

২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর সময় পর্যন্ত পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল বা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) আকার দাঁড়িয়েছে ১১২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ দাঁড়িয়েছে ৪৮৯ কোটি ১ লাখ টাকায়। আর ৮ কোটি ১২ লাখ শেয়ার বাবদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

কথা হচ্ছে কোম্পানিগুলো মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা কেনেরা? এটি পুঁজিবাজারের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। তাই বিএসইসির উচিত এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।

Tagged