আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে অপরাধী চিনিহ্নত করা খুব দ্রুতই হয়ে যায়। কিন্তু এর পরের কাজটি অর্থাৎ শাস্তি নিশ্চিত করা মুখ থুবড়ে পড়ে। এ কারণে অপরাধীরা বেঁচেবর্তে থাকে, আবার একই ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। দেশের পুঁজিবাজারেও এ ধরনের ঘটনা অতীতে অহরহ ঘটেছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম পদত্যাগ করছেন- এমন গুজব ছড়ানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং সাম্প্রতিক সময়ে দরপতন সৃষ্টিকারী কারসাজি চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে বিএসইসির বরাত দিয়ে গণমাধ্যক খবর প্রকাশ হয়।
কিছু শব্দচয়ন অনেক সময় খুবই বিভ্রান্তিকর। যেমন ‘একটি মহল’, ‘কতিপয় ব্যক্তি’, ইত্যাদি। এর ফলে পরিস্কার হয় না, কারা অনিয়ম করেছে এবং কীভাবে করেছে। ফলে সেভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না। অতীতে এমনও দেখা গেছে, ঘটা করে তদন্ত কমিটি করা হয়, পরে আর সেই কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন হ না। এ কারণেই বলবো। সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন, এমন গুজব ছড়িয়েছে। এটি যারা ছড়িয়েছে তাদের যদি চিহ্নিত করা যায়, তবে শাস্তির ব্যবস্থাও দ্রুত করা হোক। না হলে অতীতের মতোই এর থেকে কোনো সুফল পুঁজিবাজার পাবে না।